জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে এসে শেষ হলে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। এসময় তিনি বলেন, গাছ আমাদের বন্ধু। পরিবেশ ও মানব প্রজাতি রক্ষায় বেশি বেশি গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। একটি দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও আমাদের রয়েছে মাত্র আট শতাংশ। বনায়ন বৃদ্ধিতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। স্কুল-কলেজে রাস্তাঘাট এর পাশে যার যার বাড়ির আঙিনায় গাছ লাগিয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে।
এ কে আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি শোষনহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে মানুষ মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না। বর্তমান সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বাড়ছে, মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে সম্পদ চলে যাচ্ছে, বাকিরা নিঃস্ব হচ্ছে।
সমাজে সম্পদের সুষম সম্পদ বন্টনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সব ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম রুখে দাঁড়াতে হবে।
ফরিদপুরের সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, যখন আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি তখন এখানে সব দফতরে ভালো ভালো যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা পেয়েছি।
সামাজিক বনায়নে সরকারি বাজেটের পাশাপাশি নিজস্ব বাজেট দিয়ে বনায়নকে ফরিদপুর সদরে শতভাগ সফল করার অঙ্গীকার করেন এ কে আজাদ।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম, সহকারী বন কর্মকর্তা মোস্তফা আল হোসেন ও বেসরকারি নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আক্কাস হোসেন।